ভারতের গজল ডোবা ব্যারেজের সব গেট খুলে দেয়ায় লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। দেশের সবচেয়ে বড় সেচপ্রকল্প লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারেজের সবক’টি জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
এদিকে প্রচণ্ড বৃষ্টি আর পানি বৃদ্ধিতে চরম বিপাকে পড়েছেন ওই এলাকার বন্যাকবলিত লোকজন। এতে ডুবে গেছে নীচু অঞ্চল। বসতভিটায় বন্যার পানি প্রবেশ করায় লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে। এরইমধ্যে প্লাবিত হয়েছে জেলার হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ উপজেলার নদী বেষ্টিত চর ও গ্রামগুলো।
এছাড়া পার্শ্ববর্তী জেলা নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ি ও জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকার ২৫টি চর ও গ্রামের ১৫ হাজার পরিবার বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।
সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, উজানের ঢলের কারণে তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে সোমবার সকাল ৬টা থেকে বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যায় অসংখ্য মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ব্যারেজ হুমকির মুখে পড়ায় সব গেট খুলে দিয়ে পানির গতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চলছে।
তিনি আরো বলেন, ব্যারেজ রক্ষার্থে বাইপাসের আশপাশে বসতবাড়ির লোকজনদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে। পানি বাড়তে থাকায় জেলার ৫ উপজেলার অন্তত ৫০ হাজার ফের নতুন করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এসএস/সি